ছাগল বলি দিতে গিয়ে নেশার ঘোরে মানুষের মুণ্ডুপাত!

কথা ছিল সংক্রান্তির উৎসবে দেবতাকে উৎসর্গ করা হবে ছাগল। হাড়িকাঠে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটি। কিন্তু বলি দেওয়ার সময় ছাগল ধরে রাখা ব্যক্তির গলায় পড়ে খাঁড়ার ঘা। কারণ, নেশার ঘোরে থাকায় ছাগল আর মানুষ আলাদা করতে পারেননি যিনি বলি দেবেন।

রবিবার ভারতের হায়দরাবাদের চিত্তুর জেলায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

সংক্রান্তির দিন দেবতাকে ছাগল উৎসর্গ করা চিত্তুর জেলার ভালাসাপল্লির বহু দিনের রীতি। রবিবার তেমনই পুজোপাঠ চলছিল। বলির জন্য উৎসর্গ করা ছাগলটিকে গোসল করিয়ে সিঁদুর মাখিয়ে হাড়িকাঠে এনে রেখেছিলেন সুরেশ।

জানা গেছে, বলির মুহূর্তে বাজনা বাজছিল চারদিকে। এই অবস্থায় মদের ঘোর ভেঙে জেগে ওঠেন চালাপতি। হাতে বিশাল খাঁড়া নিয়ে উঠে দাঁড়ান। বাজনার জোরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল ছাগলের চিৎকার।

এ সময় ছাগলটি যেন হাড়িকাঠ থেকে বেরিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে সুরেশ নামের একজন ছাগলের চার পা ভালো করে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু ছাগলের গলায় নয়, সোজা সুরেশের গলায় লাগে ভারী খাঁড়ার আঘাত।

তাৎক্ষণিক দ্রুত সুরেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চালাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের দাবি, চালাপতি মদের নেশায় এতটাই আচ্ছন্ন ছিলেন যে, ছাগল আর মানুষ পার্থক্য করতে পারেননি। ছাগলের গলায় কোপ বসাতে গিয়ে তার খাঁড়া নেমে আসে সুরেশের গলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *