বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শিথীল হওয়ার পর থেকে আমদানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে পড়েছে এবং ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মার্কিন ডলার ব্যয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি আয় দেরিতে পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আরও গভীর হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসিইউ- কে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এরপরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আইএমএফ ঋণের শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের কাঙ্ক্ষিত রিজার্ভের জন্য এটি খুব কম।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ ব্যাংক গণনা অনুযায়ী মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু রিজার্ভ গণনার সর্বজনীন স্বীকৃত সূত্র অনুসারে রবিবার রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২১ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রবিবার এসিইউর দায় পরিশোধের পর প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক অনুদান ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রায় যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ সাধারণত স্থিতিশীল থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *