সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নাঈম-উর-রহমান নামে এক ছাত্রের পড়াশোনা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে “দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ” এর প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রকে দীর্ঘ ১১মাস ক্লাস করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি দেয়া হচ্ছে না টি.সি। অথচ নিয়মিত নেওয়া হচ্ছে তার বেতন। এঘটনায় ছাত্রের বাবা তার কমলমতি শিশু পুত্রের শিক্ষাজীবন বিপন্ন ও তার বিষয়ে নীতিবাচক মত্বব্যে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উকিল নোর্টিশ পাঠিয়েছেন।
স্কুল ছাত্রের বাবা আবদুর রহমানের বলেন,”দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ- এ নাঈম-উর-রহমান বাংলা মিডিয়ামে স্কুলের ভর্তি কমিটির কাছে ইন্টারভিউ দিয়ে নার্সারি ওয়ান(প্লে-গ্রুপ) এ ভর্তি হয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাস করে। জুনের শেষ দিকে ইংলিশ মিডিয়ামের ভর্তি কমিটি কৃষ্ণা সূত্রধর, সোনিয়া সিদ্দিক এবং প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে আবার ইন্টারভিউ দিয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে নার্সারি ওয়ান (প্লে গ্রুপ)-এ ভর্তি হয়। ভর্তির পর সুন্দরভাবেই ক্লাস করছিল আমার ছেলে। হটাৎ ১৬তম ক্লাস থেকে ডাইরিতে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কমেন্ট লিখে দিচ্ছিলেন ক্লাস টিচার কৃষ্ণা সূত্রধর। এবং পরবর্তীতে সেই ডাইরিতে লিখা কমেন্টগুলা রি-রাইট করেন এবং বাজে কমেন্ট লিখা ডাইরির একটা পেজ ছিড়ে ফেলেন। মোট ৩৫টা ক্লাস করার পর ৩৬তম ক্লাস (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আমার ছেলেকে আর ক্লাস করতে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি তাহসিন আহমেদ চৌধুরীর সাথে কথা বলেন ছাত্রের অবিভাবক। সভাপতি জানান, উনি অনেক ব্যাস্ত, প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে।
আমি আমার বাচ্চাকে ক্লাস করতে দেয়ার জন্য বহুবার প্রিন্সিপালকে রিকোয়েস্ট করি। মার্চের ৫তারিখে একটি লিখিত প্রেয়ার দেই এবং রিসিভ করে নিয়ে আসি। সেখানে উল্লেখ করেছি আমার ছেলেকে হয় ক্লাস করতে দেয়া হোক,না হয় কারন উল্লেখ করে টি.সি. দিয়ে দেয়া হোক। এখন পর্যন্ত সেই প্রেয়ারের রিপ্লাই দেননি এবং টিসিও দেননি প্রিন্সিপাল। পরবর্তীতে মে মাসের ৮তারিখে প্রিন্সিপাল বরাবর উকিল নোটিশ পাঠাই এবং কপি দেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরো বিভিন্ন দপ্তরে। তারপরও এখন পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয়নি।
দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মূলত টি কমিউনিটির স্কুল। ১৯৭৮সালে ফিনলে টি কোম্পানি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। টি কমিউনিটির স্কুল হলেও এখানে সবারই পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে এবং এই স্কুলের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ও ফিনলে টি কোম্পানি রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ফিনলে টি কোম্পানিতে নাঈম-উর-রহমান এর মা ডা. নাদিরা খানম ইনচার্জ হিসেবে “বালিসেরা মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট”-এ কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপ্যাল জাহাঙ্গীর আলম সাহেবকে বার বার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
স্কুলের গভর্নিংবডির সভাপতি তাহসিন আহমেদ চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক জানার পর কথা বলেননি।
শ্রেণি শিক্ষক কৃঞ্চা সূত্রধরকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করলেও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি, কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কথা বলা স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
স্কুলের কো-অর্ডিনেটর সোনিয়া সিদ্দিককে বাব বার ফোন করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।