পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির একটি আদালত।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কারাবন্দী পিটিআই নেতার আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে।
ইমরান খানের পাশাপাশি তার ডেপুটি শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইমরানের আইনজীবীর জানিয়েছেন, সরকারি গোপনীয়তা ফাঁসের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১৪ বছরের জেল, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
প্রযুক্তিগত কারণে আগের অভিযোগ বাতিল করার পর দ্বিতীয়বারের মতো একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ইমরান খান।
এরআগে কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসিয়ে মামলাটিতে গত অক্টোবর মাসে প্রথম ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করা হয়। কারাগারের ভেতরে গোপনে মামলাটির শুনানি চলছিল। এভাবে গোপনে বিচার করাকে বেআইনি ঘোষণা করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পরে কারা চত্বরে উন্মুক্ত আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ আদালত।