বোলাররা আগেই অর্ধেক কাজ করে রাখেন। বিশেষ করে ভারতীয় টপ অর্ডারকে স্রেফ ধসিয়ে দেন বাংলাদেশি পেসার মারুফ মৃধা। তবে শুরুতে উইকেট হারিয়ে নিজেরাও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ক্রিজে ভুল বোঝাবোঝিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ রান সংগ্রহাক আশিকুর রহমান শিবলিকে রান আউট করে বিপদ আরও বাড়ান আরিফুল ইসলাম। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আরিফুলের ব্যাটে চড়েই ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। যদিও আরিফ শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। সেমিফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। আগামী ১৭ই ডিসেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতকাল অপর সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এদিন আগে ব্যাটিং করতে নেমে জুনিয়র টাইগার বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭.১ ওভার বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে এই টুর্নামেন্টের গত আসরে ভারতের বিপক্ষে ১০৯ রানে হেরে বাড়ি ফিরতে হয় বাংলাদেশকে। এবার সেই ভারতের বিপক্ষে জিতে মধুর প্রতিশোধ নেয় বাংলাদেশের যুবারা। এদিন ভারতের দেওয়া ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জিসান আলমকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ভালো শুরু পেয়েও দলীয় ২১ রানে ফিরে যান রিজওয়ানও। দলীয় ৩৪ রানে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আশিকুর রহমান শিবলি রান আউট হলে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন আরিফুল। দুজনের জুটিতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৩৮ রান। দারুণ খেলতে থাকা আরিফুলকে হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরির। কিন্তু ভারতীয় বোলার লিমবানিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ৯০ বলে ৯৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের। আহরার করেন ১০১ বলে ৪৪ রান। আরেক সেমিফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ব্যাটিং করে ১৯৩ রানে অলআউট হয় তারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি পেসার মারুফ মৃধার তোপের মুখে পড়ে ভারত। এই পেসারের সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে ৬১ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে একাই ৩ উইকেট নেন মারুফ। এরপর ৮৪ রানের জুটি গড়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান মুরুগান অভিষেক ও মুশির খান। অভিষেক করেন ৬২ আর মুশিরের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। শেষদিকে আর কেউ উইকেটে থিতু হতে না পারলে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মারুফ মৃধা। এছাড়া জোড়া উইকেট শিকার ইকবাল হোসাইন ইমন ও শেখ পারভেজ হোসেন জীবনের।