পঞ্চগড়ে পৌষের দ্বিতীয় দিনে তাপমাত্রা নেমে এসেছে এক অংকের ঘরে। সেই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের নিকটবর্তী এ জেলায়। গতকাল সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রাও। সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, দুপুর ১২টায় ২৪ দশমিক ৭ এবং বিকেল ৩ টায় ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সকাল ৯টার তাপমাত্রাটি হচ্ছে দিনের তাপমাত্রা। এর আগে শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গতকাল ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছিল চারদিক। সকাল ৮টার দিকে রোদ উঠলেও উত্তাপ ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমে যায়। বিকেল থেকে আবারো শুরু হয় হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে নেমে আসে কুয়াশা।
রাজনগর এলাকার অটোরিকশাচালক ছয়ফুল ইসলাম জানান, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশার কারণে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। ঘর থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হয় না। এজন্য আমাদের আয়ও কমে যায়। ঘর থেকে বের হলেই হাত-পা ঠান্ডায় জড়ো হয়ে যায়।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, দিন দিন তাপমাত্রা কমছে। আগামী দিনগুলোয় আরো কমে যাবে। তাপমাত্রা অনুযায়ী ৮-১০ ডিগ্রি পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তিন দিন পর্যন্ত এমন তাপমাত্রা বিরাজ করলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারের পক্ষ থেকে শীত মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। এরই মধ্যে ১৮ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন করা আছে। শীতার্তদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত।